
বেধরক পিটুনী দিয়ে তিন সন্তানের জননী আম্বিয়াকে জোর করে তালাকে বাধ্য করেছে পাষন্ড স্বামী।
জানা যায়, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জবিলাসী বালাখুড়ি এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে আম্বিয়া আক্তার (২৫) ও একই এলাকার প্রধান পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র হাফিজুল ইসলাম বাবুর (৩৫) সাথে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। তাদের ১৭ বছরের সংসারে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বাবু যৌতুকের দাবী করে নির্যাতন করত আম্বিয়াকে। পাষন্ড বাবুর নির্যাতন থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে আম্বিয়ার বাবা আবুল হোসেন দফায় দফায় টাকাও দেন বাবুকে। তারপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। প্রায় সময়ই মারপিট করতে থাকে বাবু ।
গত অক্টোবরে আম্বিয়া তার স্বামী বাবু ঢাকায় নিয়ে যান কাজ করার জন্য । বাবু ঢাকায় ইজিবাইক অটো চালানো শুরু করেন আর আম্বিয়াকে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী নিয়ে দেন । সপ্তাহ খানেক আগে বাবু আবারও দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। আম্বিয়া অভাবী বাবার কাছে টাকা চাইতে অপারগতা প্রকাশ করলে গত শুক্রবার আম্বিয়াকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে বাবু । এক পর্যায়ে আম্বিয়ার হাত পাঁ বেধে মারপিট করতে থাকে বাবু। এতে আম্বিয়ার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম হয়। এ সময় জোর করে ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর নেয়।
পরে হাত পা বাধা অবস্থায় একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে দেবীগঞ্জের রামগঞ্জবিলাসী আম্বিয়ার বাবার বাড়ীর সামনে গত ২৪ নভেম্বর রাত ১১ টার সময় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তার স্বামী বাবু । আম্বিয়াকে মূমুর্ষ অবস্থায় তার মা আজ সোমবার সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করান । বর্তমানে আম্বিয়া দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ১৩ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।