
গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে সরিষা আবাদ করছে কৃষকরা। সরিষা আবাদ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে কৃষকরা সরিষা আবাদের দিকে ঝুকে পরছে। সরিষা আবাদে খরচ যেমন কম তেমনি দাসও বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদকে নিরাপদ চাষ হিসেবে গন্য করছেন। বর্তমানে নীলফামারীর ডোমারে ফসলের মাঠ জুড়ে সরিষা ক্ষেতে মন জুড়ানো এক হলুদের সমারোহ। মৌমাছির গুনগুন শব্দ আর সরিষা ফুলের সুগন্ধে পথিক তার পথের ধারে থমকে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির রুপ উপভোগ করছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুড়ে দেখাযায়, কৃষাণ কৃষাণীরা তাদের সরিষা ক্ষেত পরিচর্চায় ব্যস্ত। ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশায় কেউ নিড়ানী দিচ্ছে, কেউবা সার, সেচ দেওয়ার কাজে হাসি মূখে সময় অতিবাহিত করছে। ডোমার সদর ইউনিয়নের সরিষা চাষী আব্দুল কাদের বলেন সরিষা চাষে উৎপাদন খরচ কম। তাই ২ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের সরিষা চাষী নবত রায় ও বিদুষ রায় জানান, বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ হয় ২থেকে ৩ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ৭ থেকে ৮ মন সরিষা উৎপাদন হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। কৃষি বান্ধব সরকার কৃষিখাতে গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষি প্রনোদনায় ও কৃষি পূর্ণবাসনের আওতায় ৬শত ৭০ জন কৃষককের মাঝে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান জানান, এবারে ৪.২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের টার্গেট থাকলেও ৪.৩০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছি।