
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া তাদের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে। হলফনামায় কেউ নিজেকে স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পূর্ণ কেউ আবার স্বশিক্ষিত দাবি করেছেন।
অনেকে আবার নিজের চেয়ে স্ত্রীর নগদ অর্থ বেশি রয়েছে এমন দাবিও করেছেন। প্রার্থীদের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারী মামলাও।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম সুইট তার দেয়া হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পূর্ণ উল্লেখ করে নিজের নগদ অর্থ ২ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও স্ত্রীর নগদ অর্থ ১০ লাখ টাকাসহ ২০ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি একটি ট্রাক্টর, রোটাভিটর, মোটরসাইকেলসহ ইলেকট্রনিক সামগ্রী হিসেবে টিভি, ফ্রিজ আর আসবাবপত্র হিসেবে খাট, টেবিল রয়েছে বলে তিনি হলফনামায় তথ্য দিয়েছেন। তিনি একটি ফৌজদারী মামলার আসামিও বলে দাবি করেছেন। এছাড়া ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৬ লাখ টাকা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি দাবি করে হলফনামায় উল্লেখ করেন নিজের ১২ ভরি স্বর্ণসহ নগদ টাকা মাত্র ৪৫ হাজার আর স্ত্রীর কোনো স্বর্ণ না থাকলেও তার কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ২৫ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ও অতীতে কোনো ফৌজদারী মামলা হয়নি বলে তিনি তার হলফনামায় দাবি করেন।
বিএনপি’র প্রার্থী এ কে মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল নিজেকে এইচএসসি পাশ উল্লেখ করে হলফনামায় তথ্য দিয়েছেন তিনি এখনো আটটি ফৌজদারি মামলার আসামি। নিজের কাছে নগদ অর্থ ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৭১২ টাকা আর স্ত্রীর কাছে রয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার নগদ টাকা।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সুমন মিয়া তার নির্বাচনী হলফনামায় নিজেকে স্বশিক্ষিত দাবি করেছেন।
তবে পাটগ্রামের সচেতন মহল বলছেন, প্রার্থীদের অনেকের নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তব তথ্যের কোনো মিল নেই। এছাড়া অনেকেই তাদের অনেক তথ্য গোপনও করেছেন। যা তদন্ত করা প্রয়োজন।