
দিনাজপুর শহরের ব্যস্ততম ও চিকিৎসা সেবার অনুপুযুক্ত পরিবেশ বালুয়াডাঙ্গা বাসষ্টেন্ডে গড়ে উঠেছে হাসনা ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি। চিকিৎসা সেবার মত মহৎ পেশায় মনোনিবেশ করে সোয়াব হাসিলের চেয়ে অর্থ উপার্জনই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই উপযুক্ত রোগের উপযুক্ত চিকিৎসার চেয়ে রুগির লোকের কাছে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আদায় করাই তাদের একমাত্র ব্রত বলে অভিযোগ করেন বিরল আলিপুর গ্রামের ভুক্তভোগী রুগি সুমন বর্মন ও তার নিকট আত্মীয়স্বজন।
সুমন জানায় বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার বুকের মাঝে ব্যাথা করলে স্থানীয় গ্রামের পল্লী চিকিৎসক এহসান আলীর স্মরনাপন্ন হলে সে আমাকে গত ২১জানুয়ারী তার পিসি প্রাপ্ত হাসনা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারী মোঃ শামীম তাকে তার ক্লিনিকের লোক মারফত তার পছন্দনীয় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে শামীম বলে অ্যাপেনডিসাইড এর অপারেশন করতে হবে কিন্তু উল্লখ্য যে সুমনের আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অন্যান্য ডাক্তারা দেখে বলে কোন অপারেশন লাগবে না সব নরমাল আছে।কিন্তু ক্লিনিকের মালিক শামীম জানায় অপারেশন দ্রুত করতে হবে টাকা ৭হাজার ৫শত টাকা লাগবে।অপারেশন করেন দিনাজপুর ডায়াবেটিসের ডাঃ সার্জন মারুফ খান।
অপারেশন শেষে শামীম রুগির লোককে জানায় আপনাদের রুগির অ্যাপেনডিস্ক বাষ্ট হয়ে গেছে আরো অতিরিক্ত ৫হাজার টাকা লাগবে।কিন্তু রুগির লোকজন অপারগতা স্বীকার করলে তারপরেও অনেক কষ্টে ৩হাজার ৫শ টাকাসহ মোট ১১হাজার টাকা পরিশোধ করে রুগিকে বাসায় নিয়ে যায়।কিন্তু সুমনের বুক ব্যাথার সাথে সাথে আরেকটি নতুন উপস্বর্গের ব্যাথা অনুভব হয় তার অ্যাপেনডিস্কের অপারেশন থেকে।
এমনকি রুগির লোকজন এও অভিযোগ করেন ডাঃমারুফ এসে কোন রিপোর্ট না দেখেই সরাসরি অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে সুমনের অপারেশন করে।ব্যাথার জ্বালা আর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সুমনের লোকজন ২৭ডিসেম্বর সকালে পুনরায় ঐ ক্লিনিকে নিয়ে আসলে ক্লিনিকের প্রোপাইটার শামীম তাদের পাত্তা না দিয়েই তাদেরকে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে ড্রেসিং করে ছেরে দিতে চায়।পরে ডাঃ মারুফের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে পুনরায় সুমনকে ক্লিনিকে ভর্তির আদেশ দেয়।
ডাঃমারুফের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে সাংবাদিককে জানায় সুমনের অ্যাপেনডিস্ক বাষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাইপের মাধ্যমে অপারেশন করা হয়েছে।আর সে কারনেই সেখানে পুজ হওয়ায় ব্যথা করছে।এর চেয়ে আর কিছু বলেননি।তবে আমরা সাধারন মানুষ ডাক্তারদের সিদ্ধান্তটাই সঠিক মনে করে তারা যা বলে তাই করি।কিন্তু আদৌ এ অপারেশন কতটা ন্যায় ও যুক্তি সংগত হয়েছে তার বিচার ভার সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুসকে জানানো হয়েছে এবং তিনি প্রকৃত তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।