
ওরা অভাবী ও গরিব প্রাণ চঞ্চল শিশু। কেউ প্রাথমিকে পড়ছে আবার কেউ হয়তো গণ্ডি পেরিয়ে স্কুল-মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন। আবার কেউবা প্রতিষ্ঠানের চৌকাঠ পেরোয়নি। এরা এই আলুর ভরামৌসুমে কৃষকের ক্ষেত থেকে আলু কুড়িয়ে সংগ্রহ করে তা দিয়ে পরিবারের কিছুটা অভাব দূর করে।
বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) কথা হয় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামের শিশু আকবর (৯), আশা মনি (৭), প্রতিমা রানী (১১), ও আশরাফুলের (৮) সঙ্গে।
তারা বলে, বাড়িতে সারা বছরের জন্য যে আলু লাগে তারা তা এভাবে সংগ্রহ করে মায়ের কাছে দেয়। মায়েরা এসব কুড়িয়ে পাওয়া আলু রোদে শুকিয়ে হাঁড়ি-পাতিল, বালু বা খঁড়ে বেঁধে সংরক্ষণ করে রাখেন। পরিবারের কর্তারা যখন অভাবের কারণে বাজার থেকে তরকারি কিনে নিয়ে আসতে পারেন না ঠিক সেই অভাবের সময় সংগ্রহে রাখা আলু দিয়ে তরিতরকারি রান্না করেন।
এলাকার কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত তাদের খেতের আলু কামলা দিয়ে তুলে থাকেন। মাটি সরিয়ে আলু তোলার সময় অসর্তকতার কারণে কিছু আলু মাটি সেই মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। ওই শিশুদের মূল লক্ষ্যে হলো এসব আলু সংগ্রহ করা। তারা তাদের বাড়ি থেকে কোঁদাল ও পাসুন (গ্রাম্য ভাষায়) ইত্যাতি নিয়ে মাটি খুঁড়ে ওই আলু বের করে নিয়ে থাকেন। অন্যদিকে কৃষককেরা তাদের আলু তুলতে শিশুদের আলুর দেওয়ার বিনিময়ে আলু তোলার কাজে লাগান। তারা কৃষকের আলু তুলে দিয়ে কাজের বিনিময়ে আলু নিয়ে আবার সেই জমিতে আলুর খুঁড়ে তা সংগ্রহ করেন।