
অবিলম্বে শ্যামপুর চিনিকলসহ বন্ধ সকল চিনিকল আধুনিকায়ন করে চালু করা না হলে আগামী ১৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় রংপুরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। ‘শ্যামপুর চিনিকল রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে গতকাল রবিবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর পুরাতন গণসাহিত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শ্যামপুর চিনিকল রক্ষা কমিটির সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা কমরেড আব্দুল কুদ্দুস। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিপিবি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমরেড শাহাদত হোসেন।,বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার,বাসদ(মার্কসবাদী)জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কুমারেশ রায়, জাসদ মহানগর কমিটির সভাপতি গৌতম রায়, বাসদ জেলা সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম, জাসদ(রব) নেতা আবদুস সাদেক জেহাদী, এম্পøয়িজ ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক সুলতান বুলু আমিন, সাবেক সভাপতি খতিবর রহমান, সহ-সভাপতি শাহজাহান আলি, আখচাষি ও সিপিবি নেতা আলতাফ হোসেন, কেন্দ্রীয় আখচাষি কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে চিনির চাহিদা বছরে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন। যেখানে ১৫টি চিনিকলে উৎপাদনের সর্বচ্চো ক্ষমতা মাত্র ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন। চিনি উৎপাদের সকল আয়োজন সম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও লোকসানের অজুহাতে শ্যামপুর চিনিকলসহ ৬টি চিনিকল বন্ধ করেছে। দীর্ঘদিনের পুরনো যন্ত্রপাতি, মাথাভারী প্রশাসন, উন্নতমানের বীজ, সার ও প্রণোদনা-প্রশিক্ষনের অভাব, রাজনৈতিক প্রভাবে অধিক জনবল নিয়োগ, অদক্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ এবং তার সাথে যুক্ত শ্রমিক কর্মচারিদের কিছু অসাধু নেতৃবৃন্দের যোগসাজোসে দুর্নীতি, ভুলনীতি ও অব্যাবস্থাপনাই প্রধানত চিনিশিল্পের লোকসানের কারণ। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আখচাষিরা সময়মতো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া টাকা সময়মতো পরিশোধ করলেও কতৃপক্ষ পরিশোধ না করায় ব্যাংকের ঋণ ও সুদ বাড়ছে। প্রতিটি চিনিকলে নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে বাড়তি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহের মাধ্যমে বড় অংকের মুনাফা তৈরির সুযোগ সৃষ্টি, ডিস্ট্রিলারি ইউনিট স্থাপন, জৈব সার উৎপাদন, মিনারেল ওয়াটার প্লান্ট, জুস প্লান্ট স্থাপনসহ চিনিকলের সাথে ১৯ হাজার একর জমি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজে লাগানো সম্ভব বলে দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ শ্যামপুর চিনিকলসহ আধুনিকায়ন করে বন্ধকৃত সব চিনিকল চালু করা,আখচাষীদের কাছ থেকে লাভজনক দামে আখ ক্রয় করা, চিনিকলের সাথে যুক্ত দুর্নীতিবাজদের শাস্তি, শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা, পেনশন অবিলম্বে পরিশোধের দাবি জানান।