বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১৫ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন আমজাদ হোসেন সরকার। সেখানে তৃতীয় দফায় করোনা পজিটিভ আসে। এ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
তিনি স্ত্রী, আমেরিকা প্রবাসী একমাত্র ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ইতি মধ্যেই তার লাশবাহী গাড়ি ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছে।
আমজাদ হোসেন সরকার সবার অত্যন্ত জনপ্রিয় মেয়র ছিলেন।তিনি সৈয়দপুরবাসীর অভিভাবক । শিক্ষাসহ এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন তিনি। আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
এদিকে তার মৃত্যুর কারণে পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। খুব শিগগির নতুন করে পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: রবিউল আলম।
অন্যদিকে মেয়রের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান সৈয়দপুরের বিভিন্ন রাজনীতিক দলের নেতাকমী,সাংবাদিক,ব্যবসায়ী,সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের জনসাধারণ ।
১৫ জানুুয়ারী শুক্রবার বাদ নামাজে জুমআ তাকে মকবুল হোসেন বিএম কলেজে জানাজা শেষে পাটোয়ারী পাড়া পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হবে। এর আগে জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরহুমের কফিন পৌরসভা চত্বরে রাখা হবে।