
নীলফামারীর জলঢাকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে চার সদস্যের ছিনতাই চক্রের সন্ধ্যান পেয়েছে পুলিশ। ৩ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।
ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ, পরিদর্শক(তদন্ত) ও তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজ শুরু করেন। পরে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে জলঢাকা শহরের নাহিদ হাসান মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একঘণ্টা পর বিশাল রায় নামে আরেক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ভোরে গ্রেফতার করা হয় ঘটনার মুলহোতা রেজওয়ানকে। এ সময় তাদের সঙ্গে নিয়ে মন্থের ডাঙ্গা এলাকার একটি ড্রেন থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা ছোরা, চাপাতি এবং চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান জানান, রেজওয়ান এর নেতৃত্বে জলঢাকায় একটি ছিনতাই চক্র তৈরি হয়েছে। এই চক্রে এখন পর্যন্ত চারজন রয়েছেন। তারা ভোরে ঢাকা কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে জলঢাকায় পৌঁছালে তাদের ছিনতাইয়ের শিকার হন। পলাতক অপরজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আসামিরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আরিফ চৌধুরীর উপর হামলা চালিয়েছিলো। মৃত ভেবে তারা পালিয়ে যায়। কিন্তু অধিকতর জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা জেনে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আসামিরা উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করতেন। এ ব্যাপারে জলঢাকা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোস্তানছির বিল্লাহ বাদী একটি মামলা করেছেন।
এদিকে অপরাধের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। জলঢাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আযম সরকার বলেন, আমাদের আগের কমিটি ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলো দিয়েছে। ছাত্রলীগে অন্যায়, অনিয়ম, সন্ত্রাস কিংবা চাঁদাবাজির ঠাঁই নেই। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকে সংগঠনটি। রেজওয়ানেক ইউনিট থেকে অব্যাহতি দিতে জেলা কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নীলফামারী সার্কেল) এএসএম মোক্তারুজ্জামান, জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।