
ধর্ষণ একটি জটিল অপরাধ যা বিচার বিশ্লেষণ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই অপরাধ সংঘটিত হয়। এবং সব দেশেই এর যথাযথ রেকর্ড পাওয়া সত্যিই দূরূহ। যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,কানাডা,সুইডেনের মতো উন্নত দেশগুলোতে ধর্ষণের মাত্রা এতটাই প্রকট যে ,এ দেশ গুলো পৃথিীবীর সব চেয়ে বেশী ধর্ষণের দেশ গুলোর তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে।
বর্তমানে প্রতিদিন খবরের কাগজ খুলে যে সংবাদটি সবার নজর কাড়ে এবং উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা হলো ধর্ষণ। প্রতিদিন দেশে কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে । খবরটি নি:সন্দেহে আমাদের সবার জন্য বেশ দু:চিন্তার বিষয়। তাই কৌতুহলবশত সবচেয়ে বেশী ধর্ষণের দেশের একটি লিষ্টের জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে ছিলাম। উত্তরে পেয়ে ছিলাম,এক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম আর সুইডেন ২য়। এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে ৩য় ও ৪র্থ অবস্থানে। তবে আমাদের দেশে যে হারে ধর্ষণের খবর পত্র পত্রিকায় আসতে শুরু করেছে,তাতে সচেতন নাগরিক মাত্রই শঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই।
ধর্ষণের বিষটি তখনই ভাবিয়ে তোলে ,যখন দেখি ধর্ষকের জামিনের জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনরা আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ান নির্লজ্জের মতো,সত্যিই খুব কষ্ট হয়। ধর্ষকের মা বাবা,ভাই-বোন,কি কেউ হতে চান? ধর্ষকদের মা পরিচয় দিতে চান ? পাড়া মহল্লায় ধর্ষকের ভাই-বোন হিসেবে ঘুরে বেড়াতে চান? আমার মনে হয়,এটা আজ সমাজের জন্য একটা কঠিণ প্রশ্ন?
সবশেষে,সংবাদ হোক ধর্ষকদের ভিত কাঁপানোর অন্যতম হাতিয়ার। অর্থাৎ প্রচার মাধ্যমই পারে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত করতে। একজন ধর্ষিতার উকিলদের প্রতি অনুরোধ রইলো,ধর্ষকদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করুন।
সবার কাছে অনুরোধ করে শেষ করতে চাই-ধর্ষকদের শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত করুন এবং তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। আর আসুন,সবাই সমম্বরে বলি-একজন ধর্ষকের মা-বাবা,ভাই-বোন থাকতে নেই।
এই নিকৃষ্ট ধর্ষকদের রুখতে না পারলে আমার আপনার ঘরেও তারা ঢুকবেনা এ গ্যারান্টি কে দেবে? না হলে আসুন আমরা নিজেকে ধিক্কার দেই! আমাদের পুরুষ জীবনকে ধিক্কার দেই! ধিক্কার দেই আমাদের পুরুষত্বকে!